Featured Post

The Alchemist

পাওলাে কোয়েলহাের    “ দ্য আলকেমিস্ট ” উপন্যাসের আদলে বিবৃত এক আধ্যাত্মর প্রকাশ। এ প্রকাশ যেমন চমৎকার তেমনি আত্ম উন্নয়নের আশাবাদী উপাখ্যান।...

পাওলাে কোয়েলহাের    “ দ্য আলকেমিস্ট ” উপন্যাসের আদলে বিবৃত এক আধ্যাত্মর প্রকাশ। এ প্রকাশ যেমন চমৎকার তেমনি আত্ম উন্নয়নের আশাবাদী উপাখ্যান।...


পাওলাে কোয়েলহাের  দ্য আলকেমিস্ট” উপন্যাসের আদলে বিবৃত এক আধ্যাত্মর প্রকাশ। এ প্রকাশ যেমন চমৎকার তেমনি আত্ম উন্নয়নের আশাবাদী উপাখ্যান। ফলে একজন কিশাের যেমন বইটি পড়ে আনন্দ পাবে তেমনি অশীতিপর বদ্ধও পেতে পারেন নতুন উদ্দীপনা।। বইটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে পাঠকধন্য বই হিসেবে স্বীকতি পেয়েছে। কোয়েলহাে বইটি লিখেছিলেন পর্তুগীজ ভাষায়। বইটির ইংরেজি ভাষার অনুবাদ থেকে আমি বাংলায় ভাষান্তর করি। বইটি অনুবাদে হাত দিয়ে যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে অস্বস্তিতে ফেলেছে, সেটি হচ্ছে এই বইয়ে ব্যবহৃত নানা বাক্য, শব্দরাজি। বেশ কিছু বাক্য, শব্দ- দ্ব্যর্থবােধক অথবা বহুঅর্থক। আমার পরিশ্রমের বেশিরভাগই ব্যয় হয়েছে বইটির শব্দের প্রচলিত অর্থের পেছনে ভাবার্থ বা সংকেত-অর্থ খুঁজতে। আবার একাধিক শব্দে গঠিত কিছু যৌগিক শব্দ অভিধানে পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে মৌলিক অর্থারােপ করতে হয়েছে। কোথাও কোথাও বাধ্য হয়ে বন্ধনী () ব্যবহার করা হয়েছে। বইটি ভাষান্তর করতে আমার অনেক শুভানুধ্যায়ী, প্রাজ্ঞ মানুষের সহৃদয় সহায়তা নিতে হয়েছে। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হিল্লোল দত্ত, সাইফুর মিশু, জাহিদ হােসেন, আরমান রশীদ, সাজ্জাদ আলী, সেরীন ফেরদৌস, আশরাফুল হাসান, মনিরুল ইসলাম, প্রশান্ত ত্রিপুরা, ইনাম আল হক, নীলাদ্রি চাকী, মনজুরুল আজিম ও খসরু চৌধুরীর কাছে। বইটি ভাষান্তর করতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন পারিবারিক বন্ধ প্রকাশক মজিবর রহমান খােকা। আরেক পারিবারিক বন্ধ মঈন আহমেদ বইটির অঙ্গসজ্জা করে দিয়েছেন। তাঁদের বিশেষ কতজ্ঞতা জানাই। নিজের ব্যস্ততার মধ্যেও খ্যাতনামা প্রচ্ছদ শিল্পী রাগীব আহসান বইটির প্রচ্ছদ করে দেওয়ায় তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। “দ্য আলকেমিস্ট” এমন একটি আধ্যাত্মিক অভিযাত্রার কাহিনি যার পুরােপুরি স্বাদিষ্ঠ অনুবাদ সম্ভব না। তারপরও শাব্দিক ও মূলানুগ অর্থ বজায় রেখে অনুবাদের চেষ্টা করেছি। বইটি সুধী পাঠকের আনুকূল্য পেলে তবেই আমার প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে।




দুঃখকে যারা খুব কাছ থেকে দেখেছে, চিনেছে, দুঃখে ডুবে থেকেছে যারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত; তারা কখনোই কারোর দুঃখের কারণ হতে চান না। কাউকে অ...


দুঃখকে যারা খুব কাছ থেকে দেখেছে, চিনেছে, দুঃখে ডুবে থেকেছে যারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত; তারা কখনোই কারোর দুঃখের কারণ হতে চান না। কাউকে অকারণে আঘাত করেন না, কারোর ব্যথা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ান না সহজে, সত্যিটা জেনেও মুখের ওপর বলতে পারেন না, অপমান কটূক্তি নিন্দে না করে চুপচাপ সবটা হজম করে বেরিয়ে চলে আসার চেষ্টা করেন, প্রত্যাঘাত বদলা এসবের দিকে পা বাড়ান না, কারোর কষ্ট হবে এমন কথা শত চেষ্টা করেও বলতে পারেন না। নিজের হাজার কষ্ট হলেও সে ব্যথার আঁচ পৌঁছাতে দেন না অন্য মানুষের গায়ে।

অন্যের দেওয়া কষ্টে ঝরে পড়া চোখের জল মুছে যারা হাসি মুখে বলেন, 'ও কিছু না, চোখে কিছু একটা পড়েছে মনে হয়...'  তারা বোধহয় এই পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর মানুষ। দুঃখ মানুষকে বুঝতে শেখায় যে কষ্টে সে নিজে আছে, যে যন্ত্রণা তাকে মুক্তি দেবে না সহজে; তা অন্য কাউকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যে কোনও সুখ নেই। মানুষেরা ঝগড়া করে, মারামারি করে, কাটাকাটি করে, বিশ্বাসঘাতকতা করে, একে অপরের দিকে ছুঁড়ে দেয় দুঃখের তীক্ষ্ণ ফলক, সেই সব কিছু করে যা অন্যের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়; উল্টোদিকে দুঃখী মানুষেরা তর্ক করে না, বিশ্বসঘাতকতা করে না, ঘুরিয়ে জবাব দেয় না। 

তাই যারা চুপ রইলো, মিথ্যে দোষারোপের উত্তরে কিচ্ছু বললো না, আঘাত না দিয়ে বেরিয়ে গেলো মাথা নিচু করে; জরুরী নয় তারা প্রত্যেকে নিজের দোষ স্বীকার করে নিলো বলেই নিরুত্তর রইলো। হয়তো তারা আপনার দেওয়া দুঃখে ডুবে যাবে, তবু হাত পা ছুঁড়ে আপনার গায়ে দুঃখের ছিটেফোঁটাও আসতে দেবে না কোনওদিন...

বেশিরভাগ মেয়েরা প্রেমে পড়লে মায়ের মতো আচার আচরণ শুরু করে। ঘুম থেকে ঠিক সময়ে উঠলাম কিনা, চা ব্রেকফাস্ট খেলাম কিনা, ঠিক সময়ে অফিস পৌঁছালাম কিন...

বেশিরভাগ মেয়েরা প্রেমে পড়লে মায়ের মতো আচার আচরণ শুরু করে। ঘুম থেকে ঠিক সময়ে উঠলাম কিনা, চা ব্রেকফাস্ট খেলাম কিনা, ঠিক সময়ে অফিস পৌঁছালাম কিনা, লাঞ্চ করলাম কিনা, বাড়ি ফিরলাম কিনা! নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর একটা ফোন কল।

অন্যদিকে বেশিরভাগ ছেলেরা প্রেমে পড়লে বাবার মতো আচার আচরণ শুরু করে। রাস্তা ঠিক ভাবে পেরোলো কিনা, অফিসে কারোর খারাপ নজর পড়লো কিনা, হেলমেটের স্ট্র্যাপটা ঠিক করে আটকে দেওয়া, ট্রেনের প্রচন্ড ভিড়ে দুর্ভেদ্য দেওয়ালের মতন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি।

এগুলো সবই হয় ভীষণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে, পুরুষতন্ত্র বা নারীতন্ত্রের নিয়ম না মেনেই। ভালোবাসা আসলে আমাদের ভিতরকার মাতৃত্ব বা পিতৃত্বকে জাগিয়ে তোলে। মা বা বাবা হওয়ার অনেক আগেই...

  প্রিয় মন, সব্বাই তোমাকে ভালোবাসবে না। কেউ কেউ ভালোবাসবে, কেউ কেউ ঘেন্না করবে। কেউ প্রশংসা করবে, কেউ নিন্দে করবে। কেউ খুব ভালো বন্ধু ভাববে,...

 


প্রিয় মন,

সব্বাই তোমাকে ভালোবাসবে না। কেউ কেউ ভালোবাসবে, কেউ কেউ ঘেন্না করবে। কেউ প্রশংসা করবে, কেউ নিন্দে করবে। কেউ খুব ভালো বন্ধু ভাববে, কেউ শত্রু ভেবে হিংসা করবে। কেউ খুব প্রায়োরিটি দিয়ে মাথায় তুলে রাখবে, কেউ অবহেলা করতে করতে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কেউ অপেক্ষা করবে, কেউ বিদায় জানিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। কেউ খবর না পেলে দুশ্চিন্তায় দুশ্চিন্তায় শুকিয়ে যাবে, কেউ বিপদে পড়েছ জেনেও পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। কেউ না চিনেও সবটা বুঝবে, কেউ সবটা বুঝেও অচেনা হয়ে যাবে। কেউ কথা না দিয়েও সারা জীবন থেকে যাবে, কেউ সারা জীবনের কথা দিয়েও মুহূর্তে মিলিয়ে যাবে।

শোনো, ফুলের বাগানের মতো আমাদের প্রত্যেকের জীবন। বহু মানুষের যাতায়াত সে' বাগানে। বুঝতে শেখো, কেউ কেউ তোমার ভিতরের সৌন্দর্য অনুভব করে ভীষণ যত্নে, অপার মুগ্ধতায়, দারুণ বিস্ময়ে চুপটি করে থেকে যাবে তোমার পাশে; আবার কেউ কেউ তোমার সৌন্দর্য না বুঝে তছনছ করে দেবে সব কিছু, ফুল ছিঁড়ে দেবে, শিকড় থেকে উপড়ে নিতে চাইবে তোমার অস্তিত্ব। সিদ্ধান্ত তোমার হাতে, যত্ন নেওয়া মানুষগুলোর কদর করে তাদেরকে সামলে সামলে রাখবে; নাকি অযত্নদের আঁকড়ে ধরে তছনছ হতে দেখবে নিজের সৌন্দর্য...

Durga Puja 2021 At this time of the year before worship as a child, our aunt and relatives used to come home with new clothes. At that time,...

Mata Durga - Collect form online

Durga Puja 2021

At this time of the year before worship as a child, our aunt and relatives used to come home with new clothes.At that time,our parents did not learn to recognize the brand of clothes.I don't think there was any violence in the shopping mall.There was no option in the online world.We spent our childhood many years before these things were born.The packets of new clothes that used to come in the hands of Aunt PC relatives were bought from the well-known cloth shops in the market.

We would get drunk with the joy of getting new clothes and would look at the clothes immediately. After showing it to everyone in the house,I would walk around with a smile on my face. Maybe the new clothes are not very good,maybe the color is bad in our body,maybe it is a cheap product, maybe the person who brought it has very little ability, maybe it is too big in size,fashion less; But there was no lack of indescribable joy in our chest.

People's attitudes have changed over time.The parents of today's children are modern.The children in their class seven-eight know fashion,know brand, know shopping mall,know.And with all that learned to evaluate gifts. How much is the price of the clothes,what are the tags of the clothes, where to buy from, these are all very important factors now.The giver has to be criticized if the quality is not right and the price is not good.The condemnation floating in the air in the sky has to be endured.

We were probably better off not knowing the brand.I was good without understanding fashion. This worship of Bengali is of joy, emotion, feeling, kinship. Stay that way? Who gave the gift in the joy of worship, evaluating its price is not small or did it! There is no brand of love, kinship,right?

People like us will no longer have a relationship by seeing a flashy post in a dating group or a post in a group.   I love him with all my h...

It only takes eight seconds
People like us will no longer have a relationship by seeing a flashy post in a dating group or a post in a group.

 

I love him with all my heart, I can't find him so easily, I hear such stories every day, that's why the meaning of the story has entered my mind unknowingly .I wanted to see how many pos pictures taken by a beautiful person on DSLR and I got fed up and went on a date with a message. Is it at all possible?

I don't believe in Love at First Sight or Divorce at First Night -

-

- It only takes eight seconds.

Eye to eye finds itself in a pair of eyes in eight seconds. At such a time, one's own future can be seen among other people. What a strange thing not so.

And for a girl, it's a mystery. A girl can never understand how a boy can fall in love with a girl in eight seconds.

Because it takes a long time for a girl to fall in love. They take the boy's small habits seriously, first with a smile on his face, then with a weakening of the tone of his voice, then slowly with his feelings.

The feeling of it is extraordinary. Keep the love hidden in your mind and shout inside but don't say it in your mouth .Don't let anyone understand. The feeling is different.

The most beautiful feeling in the world is when two people fall in love with each other at the same time but no one understands them. ..She is a wonderful beautiful torment!

It's normal to have a crush on someone on Facebook for a week or so, but online dating is a completely different thing. There is no profit brother. These dating groups, Tinder are not for us. But there is no annoyance towards those who do these you  are like us, we are like us.

There are so many beautiful people in the friend list. No one is knocked at all except for the maximum need of 2-1 people. And it takes talent to do this job. Talent to seduce a person by talking .Where chatting for a little while and not knowing what to say can make a person's mood worse, it's a luxury to even think of texting someone who isn't even a Facebook friend.

This is the generation that rides bicycles in school life and rides behind crush rickshaws,

Posts for these groups are just a source of entertainment for people who are deeply in love with school life.

They are strange people who dream of marrying the first love man in their teenage life.

They have grown up today, but that same thought remains insideThe whole time looking for that pair of eyes. With everything the man wants. Otherwise stay.

We can do everything but still we are old school. Our way of thinking is different.

We are the keepers.

- 🆔©️🔤🆓

  প্যান্ডোরা পেপারস  প্যান্ডোরা পেপারস হল প্রায় 12 মিলিয়ন ডকুমেন্ট এবং ফাইলের ফাঁস যা বিশ্বের নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ এবং বিলিয়নিয়ারদের গো...

 

প্যান্ডোরা পেপারস হল প্রায় 12 মিলিয়ন ডকুমেন্ট এবং ফাইলের ফাঁস যা বিশ্বের নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ এবং বিলিয়নিয়ারদের গোপন সম্পদ এবং লেনদেন প্রকাশ করে। তথ্যটি ওয়াশিংটন ডিসির ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছিল এবং এটি সর্ববৃহৎ বৈশ্বিক তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছে। ১১৭ টি দেশের 600 এরও বেশি সাংবাদিক পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের লুকানো ভাগ্যের দিকে তাকিয়েছেন। বিবিসি প্যানোরামা এবং গার্ডিয়ান যুক্তরাজ্যে তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছে।

কিছু পরিসংখ্যান দুর্নীতি, অর্থ পাচার এবং বৈশ্বিক কর পরিহারের অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে।কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রকাশের মধ্যে একটি হল যে বিশিষ্ট এবং ধনী ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে গোপনে সম্পত্তি কেনার জন্য আইনত কোম্পানি স্থাপন করছে।নথিপত্রগুলি অফশোর কোম্পানির কিছু মালিকদের কেনাকাটার পিছনে প্রকাশ করে।


প্যান্ডোরা পেপারস ঠিক কি?

ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেসটিগেটিভ জার্নালিস্টস (ICIJ) সংস্থার উদ্যোগে অন্তত ৬০০ জন সাংবাদিকের তত্ত্বাবধানে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। মূলত বিবিসি প্যানোরমা, দ্য গার্ডিয়ান-সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংবাদসংস্থার উদ্যোগে গত সাত বছর ধরে চলা এই গোপন তদন্তের নথি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এই নথিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে বিশ্বের তুখোড় রাজনীতিক, অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও ধনীদের একাংশ তথ্য গোপন করে সম্পদের লেনদেন করেছেন, কত পরিমাণ সম্পদ কোথায়, কাদের মধ্যস্থতায় হস্তান্তরিত হয়েছে। সে বিষয়ে অন্তত ১২ কোটির বেশি তথ্য সম্বলিত বিশেষ নথি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

প্যান্ডোরা পেপার্সে কি উল্লেখ করা থাকে?

কীভাবে ধনী, বিখ্যাত ব্যক্তিরা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের ট্রাস্ট তৈরি করেন। তার মাধ্যমেই কর ফাঁকি দেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ধরনের একাধিক ব্যক্তি তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন। ট্রাস্ট তৈরি করার মধ্যে দিয়ে কীভাবে তাঁরা কর ফাঁকি দেন সেকথার উল্লেখ থাকে এই প্যানডোরা পেপার্সে। নিজেদের পরিচয় গোপন করে যাতে কর ফাঁকি দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এই টাস্ট তৈরি করা হয়। 

পানামা পেপারের সঙ্গে প্যানডোরার পার্থক্য কোথায়?

মোসাক ফনসেকা নামে পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠান কিছু গোপন করফাঁকি সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করেছিল। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যক্তিত্বরা কীভাবে সুকৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদ বাড়িয়েছেন তার উল্লেখ ছিল পানামা পেপার্সে। অফশোর ট্রাস্টের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার পর এক নতুন পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ এর মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ, জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য ও কর ফাঁকি দেওয়া হত। সেকথাই উল্লেখ করা হয়েছে প্যানডোরা পেপার্সে। 

ট্রাস্ট কি ?

ট্রাস্টকে একটি বিশ্বস্ত ব্যবস্থা হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যেখানে একটি তৃতীয় পক্ষ, যাকে ট্রাস্টি বলা হয়, সেই ব্যক্তি বা কোনও সংস্থার পক্ষ থেকে সম্পদ নিয়ে উপকৃত হয়। এটি সাধারণত এস্টেট পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে এবং উত্তরাধিকার পরিকল্পনার জন্য ব্যবহৃত হয়। বড় ব্যবসায়ী পরিবারগুলিকে তাদের সম্পদ একত্রিত করতে সাহায্য করে এই ট্রাস্ট। 

শচীন থেকে শাকিরা, প্যান্ডোরা পেপার্সে ফাঁস রাঘব বোয়ালদের আর্থিক গোপন লেনদেন,

তদন্তমূলক সাংবাদিকতার সৌজন্যে বিশ্ব জুড়ে তাবড় নেতা, মন্ত্রী থেকে সেলিব্রিটি, প্রত্যেকের আর্থিক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছে এই প্যান্ডোরা পেপার্স। বলতে গেলে ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বিড়াল।

আর্থিক কেলেঙ্কারির জালে রাঘব বোয়ালরা। প্রকাশ্যে প্যান্ডোরা পেপার্স। কী এই প্যান্ডোরা পেপার্স(Pandora Papers)? তদন্তমূলক সাংবাদিকতার (worldwide journalistic partnership) সৌজন্যে বিশ্ব জুড়ে তাবড় নেতা, মন্ত্রী থেকে সেলিব্রিটি (financial secrets of current and former world leaders, politicians and public officials), প্রত্যেকের আর্থিক খুঁটিনাটি ফাঁস (Millions of leaked documents) করেছে এই প্যান্ডোরা পেপার্স। বলতে গেলে ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে বিড়াল। দুবাই, পানামা, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশে বিশ্বের তাবড় প্রভাবশালীরা যে অর্থ বা সম্পদের লেনদেন করেছেন গোপনে, তার সব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। 

কারা কারা রয়েছেন সেই তালিকায় ?

বরং বলা ভালো কারা নেই এই তালিকায়। একের পর এক নাম উঠে এসেছে। শচীন তেন্ডুলকর থেকে শাকিরা-তাবড় ব্যক্তিত্বদের গোপন তথ্য ফাঁস। এতে দেখা গেছে, জর্ডনের বাদশা গোপনে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালিবুতে ১০ কোটি ডলারের সম্পদ তৈরি করেছেন। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও তাঁর স্ত্রী লন্ডনে একটি অফিস কেনার সময় তিন লাখ ১২ হাজার পাউন্ড কর ফাঁকি দিয়েছেন। এই দম্পতি একটি অফশোর কোম্পানি কিনে নেন, যারা ওই ভবনের মালিকানার দায়িত্বে ছিল। 

ফাঁস হওয়া নথিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মোনাকোয় গোপন সম্পদ এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বেবিসের ফ্রান্সে দুই কোটি ২০ লাখ ডলার দিকে প্রাসাদ কেনার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই ভাবে ভারত সহ মোট ৯১টি দেশের রাঘব বোয়ালদের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (ICIJ)। এই টিমের সঙ্গে যুক্ত ব্রিটেনের বিবিসি এবং দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্র এবং ভারতের 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর মতো ১৫০টি সংবাদমাধ্যম। এরা দাবি করেছে যে ১১.৯ মিলিয়নের বেশি তথ্য তারা ফাঁস করেছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, পেপার্সে দেখা গেছে, বিশ্বের ৯০টি দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী কিছু মানুষ তাদের সম্পদ গোপন করতে অফশোর কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে ৩৩০ জনেরও বেশি রাজনীতিবিদ।

আইসিআইজে তার প্রতিবেদনে বলেছে, গোপন নথির মাধ্যমে অফশোর কোম্পানিগুলোর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন তেন্ডুলকার, পপ সঙ্গীত ডিভা শাকিরা, সুপার মডেল ক্লডিয়া শিফার এবং 'লেল দ্য ফ্যাট ওয়ান' নামে পরিচিত ইটালিয়ান মবস্টার। 

তবে এই তথ্যের বিরোধিতা করেছেন শচীনের অ্যাটর্নি। তিনি বলেছেন শচীনের যাবতীয় বিনিয়োগ বৈধ এবং আয়কর বিভাগের কাছে এর প্রতিটির হিসেব রয়েছে। অন্যদিকে, শাকিরার অ্যাটর্নি বলেন, গায়িকা ব্রিটেনের সরকারকে নিয়মিত কর দেন, এতে কোনও রহস্য বা জটিলতা নেই। 

বিশ্বের মানচিত্রে অফশোর লেনদেনের সাথে যুক্ত রাজনীতিবিদদের সংখ্যা তুলে ধরে, ভারতের ছজন ও পাকিস্তানের সাতজন রাজনীতিবিদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আইসিআইজের সর্বশেষ তদন্তে প্যান্ডোরা পেপারসে পাকিস্তানি রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রকাশ্যে আসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামও। 

বলা হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের অফশোর হোল্ডিং প্রকাশ করা হয়েছে, যার মধ্যে পাক অর্থমন্ত্রী এবং একজন শীর্ষস্থানীয় আর্থিক সহায়কের নাম রয়েছে। 


নয়াদিল্লি: 

খুলে গেল প্যান্ডোরা বাক্স! আর্থিক কেলেঙ্কারির অন্যতম বড়সড় তথ্য ফাঁস! যে আর্থিক নথিপত্র ফাঁস হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে দেশে নজরদারি এড়াতে প্রথমসারির ব্যক্তিরা কীভাহবে তাঁর সম্পদ বিদেশী অ্যাকাউন্টগুলিতে সরিয়ে দিয়েছেন। রবিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এই তথ্য ফাঁসের নামকরণ করা হয়েছে,  ‘দ্য পান্ডোরা পেপার্স’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, ধনকুবের, ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়াবিদদের গোপন সম্পদ ও লেনদেন ফাঁস হয়ে গিয়েছে এই নথিপত্রে। তাঁদের মধ্যে ভারতেরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।

ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলির ৬০০ সাংবাদিক প্যান্ডোরা পেপার অনুসন্ধানে যুক্ত ছিলেন। ফাঁস হওয়া প্রায় ১১.৯ মিলিয়ন নথিপত্রে বিদেশি আর্থিক  প্রতিষ্ঠানে অর্থ ও গোপন সম্পদ লেনদেনের তথ্য সামনে এসেছে।

ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিটাম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) বছর দুয়েক আগে এ সংক্রান্ত তথ্যগুলি পেয়েছিল। দীর্ঘ এক বছর অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

নথি খতিয়ে দেখে প্রাপ্ত প্যান্ডোরা পেপার্সের প্রথম প্রতিবেদনে এই লেনদেন বিশেষ ধরন বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য,

ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা গিয়েছে যে, বিদেশে এই অবৈধ লেনদেন খতম করতে পারতেন, এমন ক্ষমতাবানরা গোপন কোম্পানি ও ট্রাস্টে সম্পদ লগ্নি করে সুবিধা ভোগের পথ বেছে নিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৪ টি- বিদেশি পরিষেবা প্রদানকারীর গোপন নথিতে, উদাহরণ হিসেবে, দেখা গেছে যে,  এক প্রাক্তন রাজস্ব আধিকারিক, এক প্রাক্তন ট্যাক্স কমিশনার, এক প্রাক্তন সেনা অফিসার, প্রাক্তন আইন আধিকারিক ও আরও এমন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিদেশি সংস্থা গড়েছেন।

ভারতে রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, কয়েকজন প্রাক্তন সংসদ সদস্য, যাঁরা সরকারি পদেও ছিলেন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন এমন কয়েকজন যাঁরা স্পর্শকাতর বাণিজ্য বা স্পর্শকাতর দেশগুলিতে বাণিজ্যের ব্যাপারে যুক্ত ছিলেন। এমনও কয়েকজন এই তালিকায় রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে দেশের তদন্তকারী সংস্থা আগেই অভিযোগ দায়ের করেছে।

উল্লেখ্যস এর আগে পানামা পেপার্সে বিদেশে সম্পদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি ফাঁস হওয়ার পর বিদেশি সংস্থার মালিকরা নতুন পন্থা বেছে নিয়েছেন।

আর্থিক অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হয়ে যাঁরা তদন্তের আওতাধীন, তাঁরা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস বা পানামার পাশাপাশি সামোয়া, বেলিজ বা কুক আইল্যান্ডের করফাঁকির স্বর্গরাজ্যগুলিতে বিদেশি নেটওয়ার্ক গড়েছেন।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় যে সমস্ত ব্যক্তি ও সংস্থার নাম প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁদের মধ্যে দেশে অনেকেই তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরদারিতে রয়েছে। কারুর নাম উল্লেখ না করে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জেলে রয়েছেন এবং অন্যান্যরা জামিনে রয়েছেন।

এই অফসোর সিস্টেমের বিস্তারিত জানাতে গিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যান্ডোরা পেপার্সে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে অফসোর মানি মেশিনের পর্দাফাঁস হয়েছে। এগুলি  শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত দেশ আমেরিকা সহ বিশ্বের সর্বত্র সক্রিয়।

বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুসারে, ১১৭ দেশের প্রায় ৬০০ সাংবাদিক ওয়াশিংটন ডিসি-তে আইসিআইজে কর্তৃপ প্রাপ্ত ফাইল ও তথ্য খতিয়ে দেখছেন।

👇

নথিতে অনেক লেনদেন কোন আইনি ভুল জড়িত নয়।কিন্তু আইসিআইজে থেকে ফার্গাস শিল বলেন: "এই স্কেলে কখনোই কিছু ছিল না এবং এটি বাস্তবতা দেখায় যে অফশোর কোম্পানিগুলি লোকেদের নগদ লুকিয়ে রাখতে বা কর এড়াতে সাহায্য করতে পারে।"তিনি যোগ করেছেন: "তারা সেই অফশোর অ্যাকাউন্টগুলি, সেই অফশোর ট্রাস্টগুলি ব্যবহার করছে, অন্য দেশে শত শত মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি কেনার জন্য এবং তাদের নিজের পরিবারকে তাদের নাগরিকদের ব্যয়ে সমৃদ্ধ করতে।"আইসিআইজে বিশ্বাস করে যে তদন্তটি "অনেক কিছুতে একটি বাক্স খোলা" - তাই নাম প্যান্ডোরা পেপারস।